,

নবীগঞ্জে ১৮২টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মধ্যে শহীদ মিনার রয়েছে মাত্র ২৫টি বিদ্যালয়ে

জাবেদ তালুকদার : আজ ২১শে ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস। ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানানোর দিন। ভাষা আন্দোলনের দীর্ঘ ৭১ বছর পরেও নবীগঞ্জ উপজেলার অধিকাংশ প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এখনো গড়ে উঠেনি শহীদ মিনার। শহীদ মিনার না থাকার ফলে এসব প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের মহান ভাষা আন্দোলন ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস সম্পর্কে ধারণাও স্পষ্ট নয়। এদিন দেশের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা শহীদ মিনারে ফুল দিয়ে শহীদদের শ্রদ্ধা জানাবে। আবার অনেক প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা শহীদ মিনারের অভাবে উপজেলার পৌর শহরে বা আশপাশের শহীদ মিনারে পালন করে কিন্তু বিচ্ছিন্ন ও দূরের অনেক প্রতিষ্ঠানে এই দিবসে শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানানো হয়না। সরকারি তহবিল বরাদ্দ না থাকায় ও ম্যানেজিং কমিটির অবহেলার কারণে শহিদ মিনার নির্মাণ করা হচ্ছে না বলে অভিযোগ স্থানীয়দের।
নবীগঞ্জ উপজেলা শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা যায়, উপজেলায় ১৮২টি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে। এর মধ্যে মাত্র ২৫টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শহীদ মিনার রয়েছে।
নবীগঞ্জ উপজেলা শিক্ষা অফিসার কাজী সাইফুল ইসলাম বলেন, উপজেলার অধিকাংশ প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতেই শহীদ মিনার নেই। আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে শহীদদের সম্মান জানানোর জন্য প্রতিটি প্রাথমিক বিদ্যালয়েই শহীদ মিনার নির্মাণ করা উচিৎ। শহীদ মিনার নির্মানের জন্য সরকারীভাবে কোন বরাদ্দ না থাকায় স্থানীয়ভাবে অর্থব্যয় করে শহীদ মিনার নির্মাণ করা সম্ভব হচ্ছে না। যে কয়েকটিতে শহীদ মিনার আছে আমি বিভিন্নভাবে ম্যানেজ করে নির্মাণ করেছি।


     এই বিভাগের আরো খবর